ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার মাতব্বর পাড়ায় পল্লী বিদ্যুতের অর্ধশতাধিক গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে

চকরিয়া প্রতিনিধি :
চকরিয়া পৌরসভার ৭নাম্বার ওয়াডের্র পালাকাটার মাতব্বর পাড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে সাপ্তাহ জুড়ে বিদ্যুত না থাকায় পল্লী বিদ্যুতের অর্ধশতাধিক গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ হতভাগা পরিবার বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে চরম ভুগান্তির শিকার হলেও দেখার কেউ নেই বললেও চলে। বারবার সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে ধর্না দিয়েও সমস্যা সমাধা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে ওই এলাকার অর্ধ শতাধিক পরিবারের স্কুল কলেজে পড়–য়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের পড়া লেখা। রমজানেও এ ধরণের ভোগান্তির কারণে ওই পরিবার গুলো পল্লী বিদ্যুতের সেবা গ্রহণ বন্ধ করে বিকল্প ব্যবস্থায় সেবা প্রদানের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের গ্রহকরা জানিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গাছের খুটি দিয়ে একটি তারের উপর ভার করে এই এলাকার অর্ধশত পরিবারের কাছে বিদ্যুৎ সেবা দেয়। এলাকার লোকজনকে সেবা দিতে গিয়ে প্রায় সময় লাইনের তার ছিড়ে যায়। বেশী সময় ধরে বিদ্যুত না থাকে না। এমন কি বিদ্যুৎ থাকলেও লোভোল্টেজের আলোতে কিছইু দেখা যায়না। ছিড়ে যাওয়া তার পল্লী বিদ্যুতের লোকজন পুনরায় লাইন সংযোগ না করার কারণে বার বার ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রাহকদেরকে।
গ্রহকরা আরো অভিযোগ করেছেন, পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এক তার বিশিষ্ট লাইন দিলেও বেশীর ভাগ তারা সাধারণ লোকজনের বসত ঘরের চালের উপর দিয়ে সংয়োগ নেয়া হয়েছে। এতে করে বাতাস কিংবা কোন প্রাকৃতিক দূর্য়োগে সময় ওই সংয়োগ লাইনটি ছিড়ে যায়। ছিড়ে গেলে লাইন সংয়োগ চালু করার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে জানানো হলে তারা যথাসময়ে ব্যবস্থা না নিয়ে ভোগান্তিতে ফেলে দেয় গ্রাহকদের।
বিদ্যুৎ সেবা গ্রহণকারী সমজিদের এক ইমাম জানায়, এখন রমজানের দিন। অনেক গরম পড়ছে। এছাড়া বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। এসময় যদি যথা সময়ে বিদ্যুৎ সেবা পাওয়া না যায় তা হলে কর্তৃপক্ষ লাইনটি উঠিয়ে নিলে গ্রাহকরা এ যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সমাজ সেবক নুরুল আমিন জানায়, মাতব্বর পাড়া এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ লাইনটি নিয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবার চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। সামান্য বাতাস হলেই তার ছিড়ে গিয়ে বাড়িঘরের উপর পড়ে। এতে ভয়ানক দূর্ঘটনার আশংকায় এলাকাবাসী থাকে আতংকে। একতার বিশিষ্ট লাইন হওয়ার কারণে বিভিন্ন দূর্ঘটনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি ওই লাইনের তার ছিড়ে গিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৩জন লোক মারা গেছে বলেও গ্রাহকরা জানিয়েছেন। ওই এলাকায় গত এক সাপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের বার বার জানানো হলো নানা কারণে তারা ওই সংযোগটি পুনরায় স্থাপন না করে সংয়োগ লাইন বন্ধ রাখে। এতে করে মাতব্বর পাড়া এলাকার লোকজন চরম ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ হয় দ্রুত লাইন সংযোগ চালু করে ভোগিন্ত দূর করুক না দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত লাইনম্যান গ্রাহকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ভোগান্তির পরিবার গুলো দ্রুত লাইন সংযোগ চালু করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পাঠকের মতামত: